![]() |
| source: adobe stock |
বর্ণাশ্রম প্রথা :
প্রথম দিকে বৈদিকসমাজে বর্ণভেদ বা জাতিভেদ প্রথার বিশেষ প্রচলন ছিল না । অনার্যদের সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধের ফলে আর্য ও অনার্যদের মধ্যে শ্রেণিভেদের উদ্ভব এবং বর্ণাশ্রম প্রথার উন্মেষ হয় । এই সময় ভারতবাসীরা দেহের বর্ণ অনুসারে দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল , যথা : ( ক ) শ্বেতকায় আর্য এবং ( খ ) কৃষ্ণকায় অনার্য । ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে ‘ পুরুষ - সূত্রে প্রথম বর্ণভেদের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
চতুরাশ্রম ব্যবস্থা :
চতুরাশ্রম’ব্যবস্থা ছিল বৈদিক সমাজব্যবস্থার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য । আশ্রম ’ কথার অর্থ হল জীবনের অবস্থা ।
( ১ ) চতুরাশ্রমের প্রথম পর্যায় অর্থাৎ ব্ৰত্মচর্যশ্রমে আর্য বালককে গুরুগৃহে ব্ৰহ্যাচারী জীবনযাপন করে বিদ্যাচর্চার মধ্যে কাটাতে হত।
( ২ ) চতুরাশ্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীকে নিজগৃহে ফিরে গৃহস্থ জীবনে আবদ্ধ থাকতে হত।
( ৩ ) চতুরাশ্রমের তৃতীয় পর্যায়ে সংসারের সব দায়দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে বনে গিয়ে নির্লিপ্তভাবে বানপ্রস্থাশ্রম জীবনযাপন করতে হত এবং
( ৪ ) চতুরাশ্রমের চতুর্থ পর্যায় অর্থাৎ সন্ন্যাসাশ্রমে আর্য ব্যক্তিকে ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন থাকতে হত।

0 Comments